নানা স্বাদের মিষ্টি
নানা স্বাদের হালুয়া-মিষ্টি
বিডি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্ক : ধর্মীয় আচার পালনের সঙ্গে শবেবরাতে তৈরি হয় সুস্বাদু নানা খাবার। শবে বরাত নিয়ে মুসলিম বিশ্বে বিতর্ক এবং মতভেদ থাকলেও সাউথ এশিয়ার মুসলমানদের মধ্যে এর প্রভাব অনেক। নফল প্রার্থনার পাশাপাশি নানা আয়োজনে পালিত হয় এই শবেবরাত। শবেবরাতের এই খাদ্য তালিকায় হালুয়া প্রাধান্য পায় সবখানে। আর শবেবরাতে হালুয়া-রুটি হয় না, এমন বাসা কমই আছে। আপনিও বানিয়ে ফেলতে পারেন মজাদার এসব খাবার। ডালের ও পেঁপের হালুয়া, গাজরের বরফি, আলুর হালুয়া, সুজির সন্দেশ, বাসবুসা, চকলেট পুডিং আরো কত কি হতে পারে শবেবরাতের সন্ধ্যায়। শবেবরাত উপলক্ষে নির্বাচিত কিছু রেসিপি দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের রান্নাঘর। দেখে নিন শবেবরাতের নানা স্বাদের হালুয়া ও মিষ্টি রেসিপি।
আলু চকলেট হালুয়া
উপকরণ: গোল আলু (সেদ্ধ করে চটকে নেওয়া) ২ কাপ, চিনি ২ থেকে ৩ কাপ, এলাচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, মাখন ২ টেবিল চামচ, ঘি ৩ টেবিল চামচ, চকলেট আধা কাপ, ডিম তিনটা, বাদাম ও কিশমিশ পছন্দমতো, কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ।
প্রনালীঃ আলুর সঙ্গে চিনি, এলাচ গুঁড়া ও ডিম দিয়ে মেখে নিতে হবে। চুলায় ঘি গরম করে ১ টেবিল চামচ মাখন দিয়ে আলুর মিশ্রণ দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে, বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে নামাতে হবে। এটি তিন ভাগ করে নিতে হবে। এক ভাগ আলুর হালুয়ার সঙ্গে গলানো চকলেট, কোকো পাউডার ও মাখন মিশিয়ে নিতে হবে। সাদা রঙের হালুয়ার ওপর চকলেট হালুয়া স্তর করে বসাতে হবে। এর ওপর আবার সাদা হালুয়া দিয়ে ওপরে বাদাম, কিশমিশ, চকলেট দিয়ে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
পাকা আমের হালুয়া
উপকরণ: পাকা আমের ক্বাথ বা পাল্প ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, সুজি ৪ টেবিল চামচ, ঘি আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া সামান্য, ঘি ২ টেবিল চামচ, মাওয়া ২ টেবিল চামচ, বাদাম পছন্দমতো।
প্রনালীঃ আমের সঙ্গে সুজি, এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ ঘিতে ভেজে মাওয়া ও চিনি দিতে হবে। এবার বাদাম দিতে হবে। নামিয়ে পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
ডিমের রেশমি হালুয়া
উপকরণ :ডিম ৫টি, চিনি ১ কাপ, ঘন দুধ আধা কাপ, ঘি ১/৪ কাপ, দারুচিনি, এলাচ গুঁড়া ১ চা চামচ, গোলাপজল আধা চা চামচ, পেস্তা, কাজু, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ।
প্রনালীঃ চিনি, ডিম, ঘন দুধ একসঙ্গে ভালো করে ফেটাতে হবে। এরপর কড়াইয়ে ঘি একটু গরম করে ডিমের মিশ্রণ দিয়ে নাড়তে হবে। ডিম যখন জমে মিহি দানার মতো হবে তখন নামাতে হবে। নামাবার আগে দারুচিনি, এলাচ গুঁড়া, গোলাপজল, পেস্তা, কাজু, কিশমিশ দিয়ে নামাতে হবে।
আপেলের হালুয়া
উপকরণ :আপেল গ্রেট ২টি, চিনি ১/৪ কাপ, দুধ ২ টেবিল চামচ, কাজু, পেস্তা, বাদাম ৩ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রনালীঃ প্রথমে একটা পাত্রে ঘি গরম করে গ্রেট করা আপেল একটু ভেজে চিনি ও দুধ দিতে হবে। চিনি গলে গেলে কাজু, পেস্তা ও বাদাম দিয়ে নামাতে হবে। অল্প আঁচে করতে হবে, আপেল যেন গলে না যায়।
সুজির হালুয়া
উপকরণ : সুজি ১ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, পেস্তা, কাজু বাদাম পরিমাণমতো, চিনি ১/৩ কাপ, এলাচ গুঁড়া পরিমাণমতো।
প্রস্তুত প্রনালীঃ প্রথমে ঘি গরম করে সুজি একটু লাল করে ভেজে কনডেন্সড মিল্ক ও সামান্য পানি দিয়ে নেড়ে চিনি দিতে হবে। এরপর একটু নরম হলে কাজু, পেস্তা ও এলাচ গুঁড়া দিয়ে নামাতে হবে। সবশেষে ফ্রুট কালার দিয়ে তৈরি করুন সুজির রেইনবো হালুয়া।
বরফি হালুয়া
উপকরণ : ময়দা ১ কাপ, কর্নফ্লাওয়ার আধা কাপ, চিনি দেড় কাপ, পেস্তা, কাজু, কিশমিশ পরিমাণমতো, ঘি আধা কাপ।
প্রস্তুত প্রনালীঃ ময়দা ও কর্নফ্লাওয়ার ২ কাপ পানি দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। ৮ ঘণ্টা পর ওপরের পানি ফেলে আবার পানি দিতে হবে। ১ ঘণ্টা পর আবার ওপরের পানি ফেলতে হবে। সিরা তৈরি করে একটু ঠাণ্ডা করে ময়দার গোলা দিয়ে নেড়ে ঘি দিতে হবে। হালুয়া জমে এলে পেস্তা, কাজু, কিশমিশ দিয়ে বরফির আকারে কেটে পরিবেশন করুন মজাদার হালুয়া।
আলুর হালুয়া
উপকরণ: আলু ৫০০ গ্রাম, চিনি পৌনে এক কাপ, তরল দুধ সিকি কাপ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ, কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ, গোলাপজলে ভেজানো জাফরান আধা চা-চামচ, কাজুবাদামের গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, এলাচিগুঁড়া আধা চা-চামচ, ঘি আধা কাপ, বাদাম ও পেস্তাকুচি ১ টেবিল-চামচ।
প্রনালীঃ আলু ধুয়ে সেদ্ধ করে ছিলে পানি ঝরিয়ে নিন। রুটি বেলার পিঁড়িতে মসৃণ করে বেটে নিন।কড়াইয়ে ঘি গরম করে আলুবাটা দিয়ে পাঁচ-দশ মিনিট ভালো করে ভাজুন। এবারে তরল দুধ ও চিনি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নাড়ুন। তারপর তাতে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নাড়ুন। ফুটে ওঠা শুরু করলে কাজুবাদামের গুঁড়া, কিশমিশ, বাদাম, পেস্তাকুচি ও এলাচির গুঁড়া দিয়ে মেশান। ভালো করে মেশানো হলে গুঁড়ো দুধ দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে গোলাপজলে ভেজানো জাফরান দিয়ে নেড়ে নিন। খুন্তি থেকে হালুয়া ছেড়ে দিলে বাটিতে বেড়ে কাজুবাদাম, কিশমিশ, বাদাম ও পেস্তাকুচি দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা হলে পরিবেশন করুন।
পেঁপের হালুয়া
উপকরণ : কাঁচা পেঁপে ২ কেজি, চিনি ৩ কাপ, ঘি ১ কাপ, দুধ দিলেও হয় না দিলেও হবে।
প্রনালীঃ পেঁপে ভালো করে ধুয়ে খোসা ছিলে নিয়ে একটি পাত্রে ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করুন। খেয়াল রাখুন ঢাকনা যেন পাত্রের সঙ্গে এঁটে থাকে। পানি টেনে আসলে পেঁপে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে ভালো করে বাটতে হবে।
যে পাত্রে রান্না করবেন সেটাতে আগে ঘি গরম করে তাতে সিদ্ধ পেঁপেবাটা দিয়ে দিন। এখন বেশ ভালো অাঁচে নাড়তে হবে। পানি টেনে আসলে গুঁড়া দুধ (যদি মেশান) বারবার ছিটিয়ে নাড়তে হবে। দুধ মিশে গেলে চিনি দিন। নাড়তে নাড়তে যখন হালুয়া পাত্র থেকে সহজে উঠে যাচ্ছে ঠিক তখন নামিয়ে আনুন। ঠান্ডা হলে তারপর পরিবেশন করুন।
পেঁপের হালুয়া
উপকরণ : পেঁপে (গ্রেড করা) ৩ কাপ, চিনি ১/৫ কাপ, ঘি বা তেল আধা কাপ, এলাচ, দারুচিনি ৪-৫টি, পেস্তা ২ টেবিল চামচ, কাজু ২ টেবিল চামচ, কিশমিশ ২ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রনালীঃ প্রথমে একটি পাত্রে পেঁপে ভাপ দিয়ে নিতে হবে, যেন পানি না থাকে। এরপর পেপে আধা ব্লেন্ডার করে কড়াইয়ে তেল বা ঘি দিয়ে ভাজতে হবে। পরে চিনি, এলাচ, দারুচিনি দিয়ে সেমাইয়ের মতো ঝরঝরে হলে নামিয়ে নিতে হবে। তারপর পেস্তা, কিশমিশ, কাজু বাদাম ওপরে দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
গাজরের বরফি
উপকরণ : গাজর ১ কেজি, ঘি আধা কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, চিনি ২ কাপ।
প্রনালীঃ গাজরগুলো ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। খোসা ছাড়ান। এরপর সবজি কুড়ানির চিকন পাশ দিয়ে কুড়াতে হবে। রান্না করার পাত্রে অর্ধেক ঘি দিয়ে গাজর ঢেলে দিন। চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। পানি উঠে আসলে আগুনের আঁচ বাড়িয়ে পানি টেনে আনুন। এখন বাকি ঘি আর দুধ দিয়ে নাড়তে হবে। দুধ ছড়িয়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।বেশি আচে নাড়তে থাকুন। নইলে গাজরের আসল রং নষ্ট হয়ে যাবে। একটু ভাজা ভাজা হয়ে এলে নামিয়ে গরম অবস্থাতেই স্টিলের প্লেটে রেখে সমান করে নিন। পরে চাকু দিয়ে বরফি বা আপনার ইচ্ছামতো আকারে কেটে রাখতে হবে। ঠান্ডা হয়ে গেলে একটা একটা করে উঠিয়ে বাদাম কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করুন।
ডালের হালুয়া
উপকরণ : ছোলার ডাল আধা কেজি, ঘি আধা কাপ, কন্ডেন্সড মিল্ক পুরো এক কৌটা, চিনি দেড় কাপ।
প্রনালীঃ ডাল ধুয়ে চার কাপ পানি দিয়ে সিদ্ধ বসান। নাড়া লাগবে না, আগুনের আঁচ মোটামুটি হলেই চলবে। নাড়া দিলে ডালগুলো ভেঙে লেগে যেতে পারে। পানি ফুটলে জ্বাল কমিয়ে ঢেকে দিন। ডাল সিদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে শিল-পাটায় মিহি করে বাটতে হবে।এবার মিহি করা ডাল একটি পাত্রে নিয়ে সব উপকরণ একসঙ্গে দিয়ে বারবার নাড়তে থাকুন। এ সময় জ্বাল বাড়িয়ে দিতে হবে। নইলে রং সুন্দর হবে না। নাড়তে নাড়তে যখন দেখবেন হালুয়ার পাত্র থেকে সহজে উঠে যাচ্ছে, ঠিক তখনই নামিয়ে ফেলতে হবে। গরম গরম অবস্থাতেই হালুয়া একটা স্টিলের প্লেটে নিয়ে সমান করে বিছিয়ে দিন। তারপর চাকু দিয়ে বরফি আকারে কাটুন বা আপনার ইচ্ছামতো আকারেও কাটতে পারেন। ঠান্ডা হয়ে গেলে একটা একটা করে উঠিয়ে বাদাম ও কিশমিশ লাগিয়ে পরিবেশন করুন।
গাজরের লাড্ডু
উপকরণ: গাজর ২ কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, কোরানো নারকেল আধা কাপ, এলাচ গুঁড়া আধা চা- চামচ, চিনি এক কাপ, ঘি আধা কাপ, বাদাম কুঁচি আধা কাপ।
প্রনালীঃ গাজর কুঁচি করে নিতে হবে। নারকেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ চুলায় ঘিতে দিেয় ভেজে নিতে হবে। গোল গোল লাড্ডুর আকার করে নারকেলে গড়িয়ে নিতে হবে।
নারকেল প্যারা
উপকরণ: কোরানো নারকেল ১ কাপ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, পছন্দের যেকোনো ফুড কালার কয়েক ফোঁটা, চিনি দেড় কাপ, মাখন ২ টেবিল চামচ, পানি প্রয়োজনমতো, কিশমিশ সাজানোর জন্য।
প্রনালীঃ চিনি ও পানি মিশিয়ে শিরা তৈরি করতে হবে৷ ঘি গরম করে তাতে মাখন দিতে হবে, গুঁড়া দুধ ও নারকেল দিয়ে নাড়তে হবে। এবার শিরা ঢেলে ঘন ঘন নাড়তে হবে। ফুড কালার মিশিয়ে নামাতে হবে। পছন্দমতো ছাঁচে বসিয়ে নারকেলের প্যারা তৈরি করতে হবে। ওপরে কিশমিশ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
কমলার আফলাতুন
উপকরণ: সুজি আধা কাপ, ডিম তিনটা, মাখন ১ টেবিল চামচ, গুঁড়া দুধ ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, কমলালেবুর খোসা কুচি ১ চা-চামচ, কমলার রস ১ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, ময়দা ১ চা-চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ।
প্রনালীঃ দুধ, ময়দা, সুজি একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। অন্য বাটিতে ডিম, চিনি, কমলার রস ও খোসা কুঁচি মেশাতে হবে। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মেশাতে হবে, ডাইসে ঘি মেখে প্রিহিট করা ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ২০ মিনিট বেক করে নিতে হবে। নামিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
বাসবুসা
উপকরণ: নারিকেল গুঁড়া ৭০ গ্রাম, সুজি আধা কেজি, চিনি ৩৭৫ গ্রাম, ঘি ১২৫ গ্রাম, দুধ ৩৫০ মিলি গ্রাম, টক দই ১২০ গ্রাম, ভেনিলা এসেন্স ১০ মিলি, আস্ত আমন্ড বাদাম, ঘনচিনির সিরাপ ৫০০ গ্রাম
প্রস্তুত প্রনালীঃ সুজি, নারিকেল গুঁড়া, চিনি, ঘি, দুধ, টক দই ও ভেনিলা এসেন্স একটি পাত্রে নিয়ে মেশাই। পরে বেকিং ট্রেতে ঢেলে দিয়ে সমান করে ছুরি দিয়ে ডায়মন্ড কাট আকৃতি করে প্রতিটি কাটের ওপর একটি করে সম্পূর্ণ বাদাম বসিয়ে দিন। ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ওভেনে ৪০ মিনিট বেক করতে হবে। চিনির ঘন সিরাপ তৈরি করে রাখুন। বাসবুসা বেক হয়ে গেলে বের করে নিয়ে এর ওপরে ঘন সিরা ঢেলে দিয়ে ঠাণ্ডা হলে কেটে পরিবেশন করুন।
সুজির সন্দেশ
উপকরণ: সুজি এক কাপ, এক কাপ নারকেল কোরানো, চিনি এক কাপ, ৩/৪ কাপ দুধ, কিশমিশ, লবণ পরিমাণমতো।
প্রনালীঃ সুজি ভেজে নিতে হবে। নারকেল কোরা মিহি করে বেটে নিতে হবে। নারকেল বাটার সঙ্গে সুজি, চিনি ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে কড়াইয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। এরপর ২/৩ কাপ ঘি এর মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। সবকিছু ভালোভাবে মিশে গেলে আঁশ হয়ে এলে নামিয়ে ফেলতে হবে। বিভিন্ন আকারে সুজির সন্দেশ বানাতে হবে।
চকলেট পুডিং
উপকরণ: দুই-তিন কাপ চিনি, কোকা কাপ এক কাপের একটু কম, লবণ সিকি চা-চামচ, কর্নস্টার্চ সিকি কাপ, দুধ আড়াই কাপ, ডিমের কুসুম চারটি, মাখন দুই টেবিল-চামচ, চকলেট চার আউন্স কুচি করা।
প্রনালীঃ মাঝারি আকারের সসপ্যানে চিনি, কোকা পাউডার, কর্নস্টার্চ ও লবণ নেড়ে নিন। এরপর অল্প অল্প করে দুধ আর ডিমের কুসুম মেলান। ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। এরপর মাঝারি আঁচে আট মিনিট জ্বাল দিন।
আঁচ একদম কমিয়ে এক মিনিট নাড়ুন। আঁচ বন্ধ করে মাখন ও চকলেট মেশান; নাড়ুন। এই পুডিংয়ের ওপর প্লাস্টিকের পাতলা আবরণ দিয়ে মোড়ান। ঘণ্টা তিনেক ঠান্ডা করুন। সার্ভিং কাপে ঢেলে ওপরে অল্প চকলেট কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
Comments