নাটকীয় উত্থান, ওয়েটার থেকে প্রধানমন্ত্রী সুনাক

Oct 25, 2022

150

ডেস্ক রিপোর্ট : ওয়েটার থেকে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। এক সময় বৃটেনের সাউদাম্পটনে এক রেস্তরাঁয় ওয়েটারের কাজ করা ঋষি সুনাক সবাইকে চমকে দিয়ে রেকর্ডের পর রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। তিনি হয়েছেন কমপক্ষে ২০০ বছরের মধ্যে বৃটেনের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। প্রথম ভারতীয়, প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী। মাত্র সাত বছরের মধ্যে রাজনীতিতে এসে যেন জাদু দেখালেন ঋষি। এ সময়েই তার মোহময় এক উত্থান ঘটেছে। ২০১৫ সালে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। তারপর মাত্র ৭ বছরেই ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের দরজা খুলে গেছে তার জন্য। অথচ কিশোর বয়সে ছুটির দিনে সাইকেল চালিয়েই বেশি সময় কেটেছে তার। ফার্মেসি থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে বাড়ি বাড়ি দিয়ে আসতেন।

তাতে বাড়তি কিছু রোজগার হতো। পরিবারকে সাহায্য করা হতো। এক সময় সাউদাম্পটনে একটি রেস্তোরাঁয় ওয়েটারেরও কাজ করেছেন।  

সেই ঋষি সুনাকই হলেন বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল বৃটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস তার সময়ে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি সুনাককে নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম ভাষণে তিনি বৃটেনে শক্তিশালী জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা (এনএইচএস), উন্নত স্কুল, নিরাপদ সড়ক, সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ সুরক্ষা, সামরিক বাহিনীকে সমর্থন ও মান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বাকিংহাম রাজপ্রাসাদে রাজার সঙ্গে সাক্ষাতে তাকে নিয়োগ করেন রাজা চার্লস। সেখান থেকে সোজা ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনের সামনে চলে যান ঋষি সুনাক। সেখানে আগে থেকেই নিয়ম অনুযায়ী স্থাপন করা লেকচার্ন-এর সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণ দেন। এ সময় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পক্ষান্তরে সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস কিছু ভুল করেছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। ঋষি সুনাক বলেন, লিজ ট্রাস দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে চেয়েছিলেন। এটা তার ভুল ছিল না। এটা ছিল একটি আদর্শ লক্ষ্য। লিজ ট্রাস পরিবর্তন সৃষ্টি করতে অস্থির হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু কিছু ভুল করেছেন তিনি। অসৎ উদ্দেশ্য বা খারাপ ইচ্ছা থেকে এসব আসেনি। কিন্তু তার উল্টোটা ঘটেছে। তা সত্ত্বেও ভুল হয়ে গেছে। পূর্বসূরি যে ভুল করেছেন তা ঠিকঠাক করার প্রতিশ্রুতি দেন ঋষি সুনাক। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষেক ভাষণে তিনি বলেন, তিনি জানেন ২০১৯ সালে কনজারভেটিভ পার্টি যে ম্যান্ডেট অর্জন করে তা কারও একার সম্পত্তি নয়। পক্ষান্তরে এই ম্যান্ডেট হলো আমাদের সবার জন্য। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য। তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন। বলেন, তার সরকারের প্রতিটি স্তরে থাকবে সততা, পেশাদারিত্ব এবং স্বচ্ছতা। তিনি বলেন, আস্থা অর্জন করতে হয়। আমি আপনাদের আস্থা অর্জন করবো। বক্তব্য শেষ করে তিনি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের গেটে গিয়ে থামেন। পেছন ফিরে সবার উদ্দেশে হাত নাড়েন। এরপর প্রবেশ করেন ভেতরে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটাই ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে তার প্রথম পদার্পণ।

এর আগে কনজারভেটিভ দলের নতুন নেতা ঋষি সুনাককে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রাজা তৃতীয় চার্লস। গতকাল এ ঘটনার আগে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন তিনি। নতুন সরকার গঠনের জন্য ঋষি সুনাককে আমন্ত্রণ জানান। লিজ ট্রাস বাকিংহাম রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরই সেখানে প্রবেশ করেন সুনাক। এরপর রাজার সঙ্গে প্রাসাদের ১৭৪৪ নম্বর কক্ষে সাক্ষাৎ হয় ঋষি সুনাকের। এ সময় ঋষি সুনাককে বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন রাজা। এর মধ্য দিয়ে তিনি হলেন বৃটেনের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে বৃটিশরা এই একটি বছরে পেলেন তিনজন প্রধানমন্ত্রী। দুই শতাব্দীর মধ্যে ঋষি সুনাক হলেন বৃটেনের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। তার বর্তমান বয়স ৪২ বছর। 

এর আগে থেকেই নতুন মন্ত্রীপরিষদে কার কার স্থান হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। এ অবস্থায় কনজারভেটিভ দলের সাবেক নেতা ইয়ান ডানকান স্মিথ বলেন, মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া উচিত শুধু মেধার ওপর ভিত্তি করে। অন্যদিকে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, প্রথমেই ১৫ জন নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত।

অনলাইন আনন্দবাজার পত্রিকা লিখেছে, ঋষি সুনাকের পূর্বপুরুষরা ছিলেন বৃটিশ-শাসিত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। স্বচ্ছন্দ জীবিকার খোঁজে সুনাক পরিবারের সদস্যরা পূর্ব আফ্রিকায় পাড়ি দেন। সেখানে প্রবল ভারতবিরোধী মনোভাবের কারণে তারা চলে যান বৃটেনে। ঋষির মা ঊষার পরিবারের কাহিনীও তেমনই সাহসের। ঊষার মা, অর্থাৎ ঋষির দিদা ছিলেন তাঞ্জানিয়ার বাসিন্দা। নাম ‘স্রাক্ষা’। সেখানে বাস করতেন পাঞ্জাবি সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। বিয়ের পর ঋষির দিদা নিজের গয়না বিক্রি করে সেই টাকায় বৃটেন যাওয়ার টিকিট কেনেন। একটিই টিকিট। এবং সেটিও শুধু যাওয়ার, ফেরার নয়। ১৯৬৬ সালে স্বামী, সন্তানকে বাড়িতে রেখে রোজগারের উদ্দেশে একেবারে একা বেরিয়ে পড়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের লেস্টারে গ্রন্থাগারিকের কাজ নেন। বিদেশ বিভুঁইয়ে একা একা এক বছর কঠিন পরিশ্রম করে যা উপার্জন করেছিলেন, তা দিয়ে পরিবারের খরচ চালানোর ক্ষমতা তৈরি করে ফেলেছিলেন স্রাক্ষা। পরে পরিবারের বাকিরাও চলে যান তার কাছে। ঋষির মা ঊষা অস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি পড়তেন। সেখানেই ডাক্তারি পড়ুয়া যশবীরের সঙ্গে তার দেখা এবং পরিচয়। অতঃপর প্রেম এবং বিবাহ।

বিয়ের পর যশবীর-ঊষা সাউদাম্পটনে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাদের তিন সন্তান। ঋষি সুনাক বড় ছেলে। ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো তিনি। আবার দারুণ আগ্রহ খেলাধুলোতেও। ফুটবল, ক্রিকেট, হকি- সবই খেলতেন। বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষিকা জুডি গ্রেগরির কথায়, ক্লাসে ঋষিকে দেখেছি সবচেয়ে শান্তশিষ্ট অথচ সকলের খেয়াল রাখা একটা ছেলে। ভিড়ের মাঝেও কীভাবে যেন আলাদা করে সবার নজর কাড়তো ও। ঋষির সুনাকের ভাই সঞ্জয় পেশায় মনোবিদ। আর বোন রাখি কাজ করেন জাতিসংঘে। 

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে ঋষি সুনাকের উত্থান যেভাবে


যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এবং একইসঙ্গে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। এ ঘটনাকে ব্রিটিশ রাজনীতিতে একটি বাঁক বদলকারী মুহূর্ত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কেননা, এই প্রথম একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিবাসীর সন্তান, একজন অশ্বেতাঙ্গ দেশটির রাষ্ট্র ক্ষমতার শীর্ষ পদে বসছেন।

ঋষি সুনাকের মা-বাবা ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও তারা থাকতেন পূর্ব আফ্রিকায়। সেখান থেকেই তারা ব্রিটেনে গিয়ে বসবাস শুরু করেন। ঋষি সুনাকের জন্ম ১৯৮০ সালে ইংল্যান্ডের বন্দরনগরী সাদাম্পটনে। তার বাবা সেখানে চিকিৎসক ছিলেন। মা একটি ফার্মেসি চালাতেন। ফলে পরিবার ছিল বেশ সচ্ছল। নামকরা প্রাইভেট স্কুল উইনচেস্টার কলেজে পড়াশোনা করেছেন তিনি। গ্র্যাজুয়েশন করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছেন। সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় ভারতীয় ধনকুবের এবং আইটি সেবা কোম্পানি ইনফোসিসের প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতার সঙ্গে। তারপর প্রেম এবং পরিণয়। দুই কন্যা সন্তান রয়েছে এই দম্পতির।

২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মার্কিন বিনিয়োগ কোম্পানি গোল্ডম্যান স্যাকসে চাকরি করেছেন ঋষি সুনাক। পরে দুইটি হেজ ফান্ডের অংশীদার ছিলেন তিনি।

২০১৫ সালে প্রথম উত্তর ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ার কাউন্টির রিচমন্ড এলাকার এমপি হন ঋষি সুনাক। ব্রেক্সিট অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনকে বের করে আনার পক্ষে কাজ করেছেন তিনি। ব্রেক্সিট গণভোটের প্রচারণার সময় পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেন ‘আরও মুক্ত, আরও সমৃদ্ধ দেশ হবে।’

সে সময় তিনি শক্ত অভিবাসন নীতির পক্ষে কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যদিও আমি বিশ্বাস করি, যথাযথ অভিবাসন নীতি দেশের জন্য মঙ্গলজনক। কিন্তু সীমান্ত আমাদেরকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

থেরেসা মে-র সরকারে ঋষি সুনাক স্থানীয় সরকার বিভাগে জুনিয়র মন্ত্রী হন। পরে বরিস জনসন ক্ষমতা নেওয়ার পর তাকে পদোন্নতি দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিফ সেক্রেটারি নিয়োগ করেন। বরিস জনসনের সঙ্গে মনোমালিন্য তৈরি হওয়ায় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করলে অর্থমন্ত্রী হন ঋষি সুনাক। কিন্তু ২০২২ সালে কোভিড লকডাউন ভেঙ্গে পার্টি করা এবং তা নিয়ে মিথ্যা বলার অভিযোগে প্রচণ্ড চাপে বরিস জনসন যখন হিমশিম খাচ্ছিলেন, তখন অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ঋষি সুনাক।

অনেকে মনে করেন, তার পদত্যাগের মধ্য দিয়েই বরিস জনসনের পতন ত্বরান্বিত হয়েছিল। বরিস সমর্থকরা তার বিরুদ্ধে সুযোগ-সন্ধানী আচরণের অভিযোগ আনলেও সুনাক বলেছিলেন, নৈতিক কারণে সে সময়ে তিনি সরে গিয়েছিলেন।

বরিস জনসনের পদত্যাগের পরপরই নেতৃত্বের নির্বাচনে প্রার্থী হন ঋষি সুনাক। প্রচারণায় তিনি নিজেকে চৌকস একজন আর্থিক ব্যবস্থাপক হিসেবে তুলে ধরেন। তার প্রচারণার প্রধান বার্তা ছিল - কোভিড এবং ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ব্রিটিশ অর্থনীতি ভীষণ সংকটে এবং তার প্রধান কাজ হবে এর সমাধান করা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেপ্টেম্বর মাসে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচনের ভোটে তিনি লিজ ট্রাসের কাছে হেরে যান।

সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে আর্থিক খাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় দলের ভেতর প্রচণ্ড চাপে পড়ে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন সদ্য বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এর পরপরই আবারও ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বের জন্য নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেন ঋষি সুনাক। শেষ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি দলের নেতা নির্বাচিত হন।মাত্র ৪২ বছরের মি. সুনাক হবেন ব্রিটেনের ৫৭তম প্রধানমন্ত্রী এবং ১৮১২ সালের পর থেকে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী।

‘আমি একজন হিন্দু’

ঋষি সুনাক ২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে বিবিসিকে বলেছিলেন, আত্মপরিচয় তার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার ভাষায়, ‘আমার বাবা-মা এদেশে এসে বসতি গাড়েন। সুতরাং এমন একটি প্রজন্ম এদেশে রয়েছে যাদের জন্ম এদেশে হলেও তাদের বাবা-মার জন্ম অন্যত্র। আমার সাংস্কৃতিক প্রতিপালনের কথা যদি বলি, তাহলে সপ্তাহ শেষে শনিবার আমি মন্দিরে গেছি। আমি একজন হিন্দু - কিন্তু একইসঙ্গে আমি সেন্টস্-এর (সাদাম্পটন ফুটবল ক্লাব) ম্যাচের দিন মাঠে গেছি। দুটো কাজই করেছি। সবই করেছি।’

ওই একই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি সৌভাগ্যবান ছিলেন যে, বড় হওয়ার সময় তাকে খুব একটা বর্ণবাদী আচরণের মুখোমুখি হতে হয়নি। কিন্তু একটি ঘটনার কথা তিনি উল্লেখ করেন যেটি তিনি কখনই ভুলতে পারেননি।

ঋষি সুনাকের ভাষায়, ‘ছোট ভাই ও বোনকে নিয়ে একদিন বেরিয়েছি। অল্প বয়স তখন, বছর ১৫ হবে। আমরা একটি ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলাম। কাছেই কিছু লোক বসেছিল। সেই প্রথম আমাদের লক্ষ্য করে তারা ‘পি’ শব্দটি ছুড়ে দিয়েছিল। ওই শব্দ সেদিন আমার গায়ে ভীষণ লেগেছিল। আমি এখনও তা ভুলিনি।’ তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখনকার ব্রিটেনে এমনটা ঘটবে আমি বিশ্বাস করি না।’

ঋষি সুনাককে নিয়ে বিতর্ক

মনে করা হয় ব্রিটিশ এমপিদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন ধনী ব্যক্তি। বিভিন্ন সময়ে তার দলের ভেতর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, প্রাইভেট স্কুলে পড়া এবং কোটিপতি ঋষি সুনাক অর্থনৈতিক সংকটে পড়া সাধারণ মানুষের দুর্দশা কতটা অনুধাবন করেন। গত মে মাসে সুনাক এবং তার স্ত্রীর কর দেওয়ার হিসাব নিয়ে বিতর্ক উঠে। চাপের মধ্যে তার স্ত্রী বলতে বাধ্য হন, বিদেশে করা আয় থেকেও তিনি ব্রিটেনে কর দেবেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

(২৫ অক্টোবর ২০২২)

Social Share :
Comments

Comments

  • It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem...
  • It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem...
  • It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem...