হাসিনা, জয় এবং আওয়ামী লীগ কর্তৃক CANADIAN কোর্ট এর রায়ের অপব্যাখ্যা : CANADIAN কোর্ট এর রায় পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে কি হয়নি তার উপরে নয়
২০১২ সালে বিশ্বব্যাঙ্ক এর রিপোর্ট এর উপর নির্ভর করে CANADIAN REGULATORY AGENCY FCPA “পদ্মা ব্রীজ” দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি তদন্ত শুরু করে।প্রাথমিক পর্যায়ে এই তদন্তের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী এবং আমলাদের সম্পর্ক থাকলেও ২০১৪ সালের এপ্রিল এর পর আর কোনো সম্পর্ক ছিল না। যেহেতু বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ এর রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী এবং আমলারা মামলাটি’র টার্গেট এবং অবজেক্ট কোনোটাই ছিল না।
তদন্তকারীরা কানাডিয়ান প্রকৌশলী জায়ান্ট “SNC -LAVALIN” এবং এই কোম্পানি’র কর্মকর্তাকে অবজেক্ট এবং টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করে। Canadian প্রকৌশলী জায়ান্ট SNC -LAVALIN নামের এই কোম্পানিটি একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান যারা বিশ্বের অনেক দেশের সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখে।শুধু সরকার নয়, সকল শ্রেণীর লোকজনদের সাথেও তারা সু-সম্পর্ক রক্ষা করে যেহেতু তাদের কর্মক্ষেত্র পৃথিবী ব্যাপী। পাশাপাশি SNC -LAVALIN আর বিরুদ্ধে হাজারো বদনাম/অভিযোগও রয়েছে। ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে কন্টাক্ট পাওয়া থেকে শুরু করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এহেন কোনো কাজ নেই যা তারা করে না।আর এ জন্যই SNC -LAVALIN USA সহ ইউরোপিয়ান অনেক দেশের নজরদারিতে রয়েছে।
SNC-LAVALIN তাদের চিরাচরীত কৌশলের কোনো কিছুই তারা বাদ রাখেনি বাংলাদেশের পদ্মা ব্রীজ এর কন্টাক্ট/কাজটি পাওয়ার জন্য।তারা তাদের কর্মচারী ইন্ডিয়ান ORIGIN রমেশ শাহ এবং বাংলাদেশী ORIGIN জুলফিকার আলী ভূইয়াঁকে যথা সময়ে ব্যাবহার করেছে। জুলফিকার আলী ভূইয়াঁ’র মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের আবুল হোসাইন চৌধুরীর সাথে সম্পর্ক তৈরী করে। আবুল হোসাইন চৌধুরীও তার বাংলাদেশী মনিবকে খুশি করার জন্যই SNC -LAVALIN এর অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথেও সম্পর্ক তৈরী করে।এই সম্পর্কের উপর ভিত্তি করেই আবুল হোসাইন চৌধুরীর বাংলাদেশী মনিব পদ্মা ব্রীজ এর ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে কথা বার্তা শুরু করে যা পরবর্তীতে বিশ্ব ব্যাঙ্ক এর নজরে আসে।
তদন্তের এক পর্যায়ে, ROYAL CANADIAN MOUNTAIN POLICE(RCMP) FPCA (FOREIGN CORRUPT PRACTICES ACT)এর আওতায় কানাডিয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং জায়ান্ট SNC -LAVALIN এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা KEVIN WALLACE এবং রমেশ শাহ কে গ্রেফতার করে। এই দুইজনের সাথে বাংলাদেশী এবং CANADIAN নাগরিক জুলফিকার আলী ভূইয়াঁ নামে একজনকেও গ্রেফতার করা হয়।FCPA এই CASE’র সাথে আরও দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই দুইজনের মধ্যে একজন হলো বাংলাদেশী সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসাইন চৌধুরী যিনি হাসিনা ওয়াজেদকে তার মনিব মনে করতেন।
হাসিনা, জয় এবং আওয়ামী লীগ কর্তৃক CANADIAN কোর্ট এর রায়ের অপব্যাখ্যা: CANADIAN কোর্ট এর রায় পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে কি হয়নি তার উপরে নয়।কোর্ট এর বিধি মোতাবেক মামলাটির উপরে কোর্ট ক্লার্ক এর সুপারভিশনে প্রিলিমিনারি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত এইধরণের কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার SUBSTANCE নির্ধারণ করে অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে বাদ দেয়া হয়। এই কনফারেন্সএর পরপরই মামলায় অভিযুক্ত KEVIN WALLACE এবং রমেশ শাহ’র ATTORNEY রা চতুরতার সাথে বাংলাদেশের সাবেক মন্ত্রী আবুল হোসাইন চৌধুরীর উপর কোর্ট এর JURISDICTION কে CHALLANGE করে। অভিযুক্ত KEVIN WALLACE এবং রমেশ শাহ’র ATTORNEY রা ভালো করেই জানতো যে আবুল হোসাইন চৌধুরী যদি এই মামলায় না থাকে তবে মামলাটি এমনিতেই টিকবে না।বাংলাদেশের মন্ত্রী এবং আমলারা বিদেশী প্রকল্প থেকে অবৈধ উপায়ে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করে এটা কোনো বাংলাদেশীদেরই অজানা থাকার কথা না। এদেরকেই যদি মামলা থেকে বাদ দেয়া হয় তবে বিদেশী যারা আমাদের দেশী কুকুর শ্রেণীর রাজনীতিবিদ এবং আমলাদেরকে ঘুষের মাধ্যমে ক্রয় করার চেষ্টা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আনীত মামলাটি আর টিকে না যেহেতু বাংলাদেশী দুর্নীতিগ্রস্থরা ইনভেস্টিগেটরদের ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে।তাছাড়া, SNC-LAVALIN আবুল হোসাইন চৌধুরীর মাধ্যমেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যাক্তির কাছ থেকে বিশ্বাস অর্জনে সক্ষম হয়েছিল।সুতরাং,আবুল হোসাইনকে বাদ দিলে মামলার আর কিছুই থাকে না।
KEVIN WALLACE এবং রমেশ শাহ’র MOTION এর প্রেক্ষিতে,২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল, CANADIAN JUSTICE IAN NORDHEIMER আবুল হোসাইন চোধুরী’র বিষয়ে STAY প্রদান করেন। (Chowdhury v. H.M.Q., 2014 ONSC 2635). JUSTICE IAN NORDHEIMER এই মামলা থেকে আবুল হোসাইন চৌধুরীকে অব্যাহতি দিতে গিয়ে বলেন ” যেহেতু আবুল হোসাইন চৌধুরী CANADIAN নাগরিক অথবা লিগ্যাল রেসিডেন্ট নন এবং তার দুর্নীতিযুক্ত কর্মকান্ড সব বাংলাদেশে হয়েছে সেই হেতু আবুল হোসাইন চৌধুরী উপর তার কোর্ট এর কোনো জুরিসডিকশন নেই। তাছাড়া কানাডা’র সাথে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তিও নেই।মূলত: উপরোক্ত এই রায় এর মধ্যে দিয়েই মামলাটির ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়েছিল। এই রায় এর জন্যই আবুল হোসাইন চৌধুরী, তার বাংলাদেশী মনিব এবং তাদের পাঁ-চাটার দল FCPA এর তদন্তকারীদের নাগালের বাহিরে চলে যায়।
২০১৪ সালের এপ্রিল এ JUSTICE IAN NORDHEIMER উপরোক্ত রায় এর পরই ইনভেস্টিগেশন স্থবির হয়ে পড়ে যা আর কখনোই পুনরুজ্জীবিত হয়নি। যেহেতু, SNC -LAVALIN যাদেরকে নিয়ে দুর্নীতি করার চেষ্টা করেছে (আবুল হোসাইন চৌধুরী, তার বাংলাদেশী মনিব এবং তাদের পাঁ-চাটার দল)তারাই এখন ধরা ছোয়ার বাহিরে।
২০১৪ সালের এপ্রিলের পর মামলাটির ডিসমিসাল ছিল শুধু সময় সাপেক্ষ।
তদন্তকারীদের মামলার আসামী SNC-LAVALIN এর সিনিয়র কর্মকর্তা KEVIN WALLACE, রমেশ শাহ আর জুলফিকার আলী ভূইয়াঁ ছাড়া আর কারো সাথেই কথা বলার সুযোগ ছিল না। সতরাং যা হবার তাই হয়েছে। আইন বিষয়ে যাদের ন্যুনতম ধারণা আছে তারা সকলেই জানে যে প্রসিকিউশন কোনো অবস্থাতেই কোর্ট কর্তৃক কনভিকশন পাবে না যদি তাদের তদন্তকারীরা দোষী, তাদের সহযোগী এবং প্রত্যেকটি ব্যাক্তিকে (যারা এই অপকর্মের সাথে কোনো না কোনো ভাবে জড়িত ছিল)তদন্ত করতে সক্ষম হয়।
পদ্মা ব্রীজ সংক্রান্ত CANADIAN REGULATORY AGENCY FCPA’র এই মামলায় তদন্তকারীরা দোষী, তাদের সহযোগী এবং প্রত্যেকটি ব্যাক্তিকে (যারা এই অপকর্মের সাথে কোনো না কোনো ভাবে জড়িত ছিল)তদন্ত করতে পারেনি যেহেতু ২০১৪ সালের কোর্ট মানে নিয়েছে যে প্রকৃত অপরাধী এবং অপরাধ কোর্ট এর JURISDICTION এর বাহিরে। অর্থাৎ, আবুল হোসাইন চৌধুরী, তার বাংলাদেশী মনিব এবং তাদের পা-চাটার দল LEGAL TECHNICALITY’র ফাক-ফোকর দিয়ে বেড়িয়ে গেলো।
বাস্তবতা যাই হোক, আবুল হোসাইন চৌধুরী, তার বাংলাদেশী মনিব এবং মনিবের পা-চাটা কুকুরদের জন্য এই মামলার ডিসমিসাল একটা বিশাল ব্যাপার যেহেতু তারা CANADIAN আইনের ফাক-ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। SNC-LAVALIN বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাঙ্ক গ্রুপের আনীত মামলার ডিসমিসালের সাথে আবুল হোসাইন গংদের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও এই উপলক্ষে তাদের উৎসব করা তো আর বন্ধ থাকবেনা যেহেতু রাজনৈতিক ফায়দা এর সাথে জড়িত।পৃথিবী ব্যাপী তারা বলে বেড়াচ্ছে যে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে CANADIAN COURT কর্তৃক রায় এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে পদ্মা সেতু নিয়ে বাংলাদেশের তরফ থেকে কোনো দুর্নীতি হয়নি। অথচ এই মামলার সাথে বাংলাদেশের কারো কোনো সম্পর্কই ছিল না।বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মিডিয়াকে হাসিনা’র তরফ থেকে বলা হয়েছে CANADIAN কোর্ট এর এই রায়কে আওয়ামী লীগ এর বিজয় বলে প্রচার করতে।বাংলাদেশের কোনো মিডিয়া’র কি সাধ্য আছে হাসিনা’র আদেশ অবমাননা করার? জীবন বাঁচানোর জন্য সবই ফরজ বলতে যা বোঝায় তারা তাই করেছে।
বাংলাদেশের অসহায় মিডিয়া আসল তথ্য হাতে থাকা সত্ত্বেও জীবনের ভয়ে তা প্রকাশ করতে পারছে না। তাছাড়া সত্য প্রকাশের জন্য সৎ সাহস, ভিশন এবং সবার উর্ধে দেশপ্রেম এর প্রয়োজন।বাংলাদেশের কোনো মিডিয়ার মালিকই আর সৎ সাহস, ভিশন আর দেশপ্রেম এর চর্চা করে না। তাদের সকলের জন্মইতো ভারতীয় হাসপাতালে। জন্মের পরেই তারা উলুধনি শুনে বড়ো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ এর মনিব পুত্র ১৪বার গ্রেফতারকৃত সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢেউ তুলেছে। CANADIAN COURT এর রুলিং জয়দাশ খুব ভালো করেই জানে। তা সত্ত্বেও, জয়দাশ নেশার ঘোড়ে বিশ্বব্যাঙ্ক কে বলছে তার মা এর কাছে মাফ চাইতে। আর যায় কোথায়? বাংলাদেশের টোকাই মন্ত্রী নাসিম বলেছে বিশ্বব্যাংক এর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং মামলার খরচ উনি দিবেন। নাসিমের মতো কুলাঙ্গার যে দুর্নীতিকে পুঁজি করে পাহাড় সমান পয়সা অর্জন করেছে তা খরচ করার একটা জায়গা তো দরকার!নাসিম সেটা বের করার চেচ্টা করেছে। কিন্তু মূল কথা হলো, নাসিমের মতো কুলাঙ্গার কেনো, স্বয়ং তার মনিব হাসিনা অথবা তার পুত্র ১৪বার গ্রেফতারকৃত সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় নিজেও বিশ্বব্যাংক এর বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা তো দূরে থাক, উকিল নোটিশ দেয়ার মতোও সাহস বা ক্ষমতা রাখে না। অনেকেরই মনে থাকার কথা যে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক এর টাকা হাসিনা পুত্রের তত্ত্বাবধানে লুটপাট হওয়ার পর হাসিনা, জয়দাশ, হানিফ এবং আওয়ামীলীগ এর কুকুর শ্রেণীর মন্ত্রীবর্গ এবং টোকাই এম পি’রা AMERICAN FEDERAL RESERVE এর বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়েছিলো। আজ পর্যন্ত কয়টা মামলা হয়েছে?
এই আর্টিকেলটি লেখার পূর্বক্ষণে আমাকে বলা হয়েছে যে বাংলাদেশী কাগুজে বাঘ দুর্নীতি দমন সংস্থা পর্যন্ত আবুল হোসাইন এবং আবুল হোসাইন চৌধুরীর কাছে মাফ চেয়েছে।
হায়রে দুর্ভাগা বাংলাদেশ এবং ১৬ কোটি নিরীহ মানুষ।
এই দুর্ভাগা দেশ এবং তার ১৬ কোটি সন্তান ইংরেজী বোঝে না।তারা CANADIAN কোর্ট এর রায় সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। কিন্তু হাসিনা এবং তার কুলাঙ্গার পুত্র তাদেরকে যা বুঝিয়েছে ১৬ কোটি আমজনতা তাই মেনে নিয়েছে।
আমার প্রশ্ন, বিরোধী দলে অথবা বাংলাদেশের সভ্য সমাজে এমন কি কেউ নেই যারা CANADIAN কোর্ট এর রায় নিয়ে সত্য কথাটি ১৬ কোটি মানুষকে বুঝিয়ে বলতে পারে?অবশ্য, পারলেই বা কি? বাংলাদেশের জনগণ তো আর ক্ষমতার উৎস নয়। ক্ষমতার উৎস হলো ইন্ডিয়া আর ইউনিফর্ম পরিহিত জঙ্গীরা।
আমি বিরোধী দল সহ সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাচ্ছি যে আওয়ামী লীগ যখন সকল বিরোধী দলকে আন্তর্জাতিক ফোরামে মিথ্যার বেসাতি দিয়ে জঙ্গী তকমা লাগিয়ে বিবৃতির পর বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছিলো তখন সকল বিরোধী দলের নেতারা ঘরে বসে বৌ এর আঁচলের নীচে বসে কলা খাচ্ছিলো।আজ USA এবং ইউরোপ এর মতো দেশে বাংলাদেশের সকল বিরোধী দলকে জঙ্গী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এখন, হাসিনা, জয় এবং তাদের পা-চাটা কুকুর গুলো CANADIAN COURT এর রায়কে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে কৃতিত্ব নিচ্ছে আর বিরোধী দলের কুম্ভ মার্ক নেতারা ঘরে বসে বৌ এর চুলের ভিতর থেকে উঁকুন খুঁজে বেড়াচ্ছে।
(Published 2017/01/02)
Comments