জুয়াড়িদের দখলে পুঁজিবাজার, নিষ্ক্রিয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা!

Oct 18, 2022

150

পুঁজিবাজারে আবারও তৎপরতা বেড়েছে জুয়াড়িদের। একাধিক সিন্ডিকেটের কারসাজিতে এমন সব কোম্পানির শেয়ারের দাম কয়েক গুণ বেড়েছে, যেগুলোর কোনোটিরই মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। ২০ থেকে ২৫টি ছোট মূলধনী ও দুর্বল মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজিতে মেতেছে জুয়াড়ি সিন্ডিকেটগুলো। অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কারসাজিতে এমন সব কোম্পানির নাম রয়েছে যেগুলোর ব্যবসা বৃদ্ধি কিংবা মুনাফা বাড়েনি, ভবিষ্যতে ব্যবসা বাড়ারও কোনো সম্ভাবনা নেই। এছাড়া কোম্পানির কারখানা আছে তবে লোকসান অনেক, মুনাফায় ফেরারও সম্ভাবনা নেই। কারখানা তো দূরের কথা, কোম্পানির সাইন বোর্ড নেই, এমন সব কোম্পানির শেয়ারের দাম হু হু করে বাড়াচ্ছে চক্রগুলো। যা গত কয়েক মাস ধরেই অব্যাহত রয়েছে।

অনুসন্ধান দেখা গেছে, কারসাজির মাধ্যমে এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম চলতি মাসেই দ্বিগুণ বাড়িয়েছে জুয়াড়িরা। আর গত দুই মাসে বাড়িয়েছে প্রায় ছয় গুণ। অস্বাভাবিক এ দাম বৃদ্ধি ক্যাসিনো ব্যবসার ধরণকেও হার মানায়। এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে পুরো মার্কেটে। এ জন্য সূচকও বাড়ছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক ধরে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছে না নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এদিকে ছোট মূলধনী ও দুর্বল মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে ভালো কোম্পানিগুলো। এ জন্য স্কয়ার ফার্মা ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোসহ ভালো মৌলভিক্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারে দাম গত দুই মাস ধরে কমছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে ক্রেতা সংকটে ফ্লোর প্রাইসে অবস্থান করছে এসব কোম্পানির শেয়ার।

জুয়াড়িদের দখলে যেসব কোম্পানি

ওরিয়ন ফার্মাসিটিউক্যালস, ওরিয়ন ইনফিউশন, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ (সি পার্ল হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট), জুট স্পিনার্স, আইপিডিসি, সোনালী পেপার, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, ইউনিক হোটেল, বিকন ফার্মা, বিএসইসি, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, আমরা টেকনোলজি, মালেক স্পিনিং, একমি ল্যাবরেটরিজ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে গত দুই মাস ধরেই চলছে কারসাজি।

অন্যদিকে নতুন করে কারসাজিতে যুক্ত হয়েছে বিডিকম অনলাইন, বিডি থাইফুড অ্যান্ড বেভারেজ, জেএমআই হসপিটাল, ইস্টার্ন হাউজিং, শাহজীবাজার পাওয়ার, জেমএমআই, ফারইস্ট লাইফ এবং ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্সের নাম।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জুয়াড়িদের মধ্যে একটি গ্রুপ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ নিজেই। ডিএসইর সার্ভিল্যান্সের এক প্রতিবেদনে ওরিয়ন ইনফিউশন, বিডি ওয়েল্ডিং, সি পার্ল হোটেলসহ বেশ কিছু কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এসব কোম্পানির শেয়ার কারসাজিতে মালিক পক্ষের পাশাপাশি অন্য কোম্পানির উদ্যোক্তা ও ব্রোকার হাউজের কর্মকর্তারাও জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুরো কারসাজি প্রক্রিয়ায় কলকাঠি নাড়ছে আরেকটি আলোচিত গ্রুপ। যাদের হাতে রয়েছে আইপিডিসি, সোনালী পেপার, ডেল্টা লাইফ, বিডিকম অনলাইন, নাহী অ্যালুমিনিয়াম এবং বিডিকম অনলাইনের শেয়ার।

আলোচিত এই গ্রুপ থেকে এখন সক্রিয় রয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় থাকায় আরেকটি গ্রুপ। তাদের হাতে রয়েছে, ওরিয়ন ফার্মা, শাহজীবাজার, ইউনিক হোটেল কোম্পানিসহ বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার।

এছাড়াও বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইন্ট্রাকো, আমরা টেকনোলজিস, মালেক স্পিনিং, একমি ল্যাবরেটরিজ, জেএমআই হসপিটাল এবং ফারইস্ট লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার রয়েছে আরও একটি গ্রুপের হাতে। যারা এ কারসাজিতে যুক্ত।

পুঁজিবাজারের প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্টক এক্সচেঞ্জগুলো মনে করছে, এসব কোম্পানিতে কারসাজি হচ্ছে। তাই নিয়ম রক্ষার্থে কোম্পানিগুলোর অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির পেছনে কোনো মূল্য সংবেদশীল তথ্য আছে কিনা জানাতে চাওয়া হয়। কিন্তু কোম্পানিগুলো স্বীকার করেনি, যে দাম বাড়ার কারণ আছে। বরং সবকটি কোম্পানি জানিয়েছে, কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।

গত দুই মাস ধরে পুঁজিবাজারে একাধিক চক্র কারসাজি চালিয়ে আসলেও টনক নড়ছে না পুঁজিবাজারের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের। তাই জুয়াড়ি চক্রের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থাও।

ইস্যু মূল্যের নিচে থাকা কোম্পানি বসুন্ধরা পেপার মিলসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি। এর পেছনে কোনো কারসাজি হচ্ছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইপিওর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ৮০ টাকা মূল্যে শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার বাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করে কোম্পানিটি। ফলে শেয়ারটিতে বিনিয়োগ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ সিদ্ধান্তে হতবাক বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, পুঁজিবাজারে কারসাজি এখন ক্যাসিনোকাণ্ডকেও হার মানিয়েছে। যেখানে খালি চোখে দেখা যাচ্ছে শেয়ারের কারসাজি হচ্ছে। সেখানে বিএসইসি নীরব ভূমিকা পালন করছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত দ্রুত এসব কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন বন্ধ করে দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওরিয়ন ফার্মা ও বেক্সিমকো লিমিটেডসহ কিছু আইটেমে (কোম্পানি) বাজার সেন্ট্রালাইজড হয়েছে। এগুলোর উপর ভিত্তি করে বাজারে ইনডেক্স ও ভলিউম আপ হচ্ছে। এটা খুব বাজে জিনিস, এটা বাজারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি বলেন, বাজার যখন নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির দিকে যাচ্ছিল তখনই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। অর্থাৎ প্রতিটা শেয়ারেই একটা প্রকৃত মূল্য আছে। এই প্রাইসে যখন যায়, তখন সবাই বুঝতে পারে যে, কতটা ভালো আর কতটা খারাপ। সেগুলো মনিটরিং করে অবিলম্বে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হলে বাজার অন্য আইটেমের (কোম্পানি) দিকে চলে যেত। তখন বাজার আরও বিস্তৃত হতো। অতীতে তাই হয়েছে।

যা বলছেন অর্থনীতিবিদরা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত এসব কোম্পানির দাম বৃদ্ধির পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখা।

কিছু শেয়ার দাম বৃদ্ধি ক্যাসিনোকে হার মানিয়েছে দাবি করে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, একটি কোম্পানির শেয়ার মাত্র ৬৬ কর্মদিবসে ৬০০ শতাংশের বেশি দাম বেড়েছে। এই যে একটা অস্বাভাবিক অবস্থা, এটা যদি কোম্পানির কাছে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য থাকে তবে জানানো উচিত ছিল। কোম্পানির কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে কোম্পানি বলছে, তার কাছে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। যদি তাদের কাছে মূল্য সংবেদশীল তথ্য না থাকে তাহলে কারা এ দাম বাড়াচ্ছে? তাদের অবিলম্বে ধরতে হবে। শেয়ারটির লেনদেন বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, বাজারের প্রায় ৪০০ কোম্পানির মধ্যে যদি কেউ মনে করে ৫-৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়িয়ে ইনডেক্স ও লেনদেন ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া যাবে তাহলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা কোথায়? সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোনো ভূমিকাই নেই।

তিনি বলেন, সম্প্রতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটি কারসাজি চক্রকে জরিমানা করেছে। এখন দেখছি আরেকটি চক্র কাজ করছে। এভাবে যদি একেক সময় একেকটি চক্র কাজ করে তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যাবে কোথায়? কিছু দিন আগে বিমা কোম্পানির শেয়ারের বিনিয়োগ করে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

প্রমাণের অপেক্ষায় বিএসইসি

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কয়েকটি কোম্পানির লেনদেন আমরা বেশ কিছু দিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। প্রমাণ পেতে অপেক্ষা করতে হবে। যথাযথ প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমরা পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক কিছু পেলে ব্যবস্থা নিই। সেক্ষেত্রে কোনো কারসাজি প্রমাণ করতে ছয় মাস থেকে ১ বছর সময় লাগে। ততক্ষণে শেয়ার কারসাজি করে চক্রটি বেরিয়ে যায়। তারপর তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে যায়। সে জন্য বিনিয়োগকারীদের উচিত এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগে সতর্ক থাকা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর সার্ভিল্যান্স বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, আমরা যা দেখছি তা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের তদন্ত করতে না বললে তো আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না।

যেভাবে কারসাজি হচ্ছে

বিডিকম

২০০২ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটিতে গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কারসাজি শুরু হয়েছে। ওই দিন শেয়ারটির দাম ছিল ৩২ টাকা। সেখান থেকে ২৩ টাকা ২৪ পয়সা বেড়ে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) লেনদেন হয়েছে ৫৫ টাকা ৫০ পয়সাতে। যা প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

কোম্পানির নতুন কোনো ব্যবসা সম্প্রসারণ হয়নি। এমনকি কোম্পানির কাছে দাম বৃদ্ধির কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্যও নেই। শুধু কারসাজি মাধ্যমে শেয়ারটির দাম বাড়ানো হয়েছে।

রয়েল টিউলিপ সি পার্ল

গত ৪ নভেম্বর কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৫৭ টাকা ১০ পয়সায়। সেখান থেকে ৬৮ টাকা ১০ পয়সা বেড়ে বৃহস্পতিবার সর্বশেষ লেনদেন হয় ১২৫ টাকা ২০ পয়সা।

এই শেয়ারটি মূলত কারসাজি চক্রের নজরে আসে গত ২৩ অক্টোবর থেকে। সেই সময় শেয়ারের দাম ছিল ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা। ফলে সেখান থকে গত এক মাসে শেয়ারটি দাম বেড়েছে ৮১ টাকা ৬০ পয়সা।

জেএমআই হসপিটাল

পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারের দাম চলতি মাসে বেড়েছে ৫৬ টাকা। গত ৩১ মার্চ থেকে ছয় মাসে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ১১০ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ গত ৩১ মার্চ শেয়ারটির দাম ছিল ২২ টাকা। সেখান থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ১৩২ টাকা ৬০ পয়সাতে।

ওরিয়ন ইনফিউশন

বাজারে সবচেয়ে আলোচিত শেয়ারের নাম ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। শেয়ারটি দাম বাড়তে থাকে চলতি বছরের ২৮ জুলাই থেকে। ওই দিন শেয়ারটির দাম ছিল ১০৪ টাকা ৭০ পয়সা। সেখান থেকে ৫২০ টাকা বেড়ে গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সেই শেয়ারটি সর্বোচ্চ ৬২৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে। অর্থাৎ দুই মাসের ৬ গুণ দাম বেড়েছে শেয়ারটির।

ওরিয়ন ফার্মা

একই গ্রুপের আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মা। এই কোম্পানির শেয়ারের দাম সেপ্টেম্বর মাসেই বেড়েছে ৫০ টাকা। গত শেয়ার ২৮ জুলাই থেকে ৭৫ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে ২২ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ১৫৪ টাকা বিক্রি হয়েছে।

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন

ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডের শেয়ারে চলতি বছরের ২৬ জুলাই থেকে ২৮ আগস্ট প্রথম দফায় কারসাজি হয়েছে। ২৬ জুলাই শেয়ারটির দাম ছিল ২০ টাকা ৩০ পয়সা, ২৮ আগস্ট সেই শেয়ারের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৪৪ টাকা ৭০ পয়সায়। অর্থাৎ ২৪ টাকা ৪০ পয়সা বেড়েছে।

বিকন ফার্মা

১ সেপ্টেম্বর ছিল ২৬০ টাকা ২০ পয়সা। সেখান থেকে ১১৯ টাকা বেড়ে ১৯ সেপ্টেম্বর শেয়ারটির দাম ৩৭৯ টাকা ২০ পয়সায় দাঁড়ায়। এই দাম ২০১০ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির গত দুই বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

ইস্টার্ন হাউজিং

ইস্টার্ন হাউজিং কোম্পানির শেয়ার ২৮ জুলাই লেনদেন হয় ৫২ টাকায়। এরপর সেখান থেকে দাম বেড়ে ৪ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ১০৫ টাকা ১০ পয়সায়। তার কয়েকদিন পর আবারও শেয়ারটির দাম কমে। কিন্তু এখন আবার শেয়ারটির দাম বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার শেয়ারটির দাম ৮ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে লেনদেন হয়েছে ৯৩ টাকা ১০ পয়সায়।

ডি ওয়েল্ডিং লিমিটেড

এক মাস শেয়ারটির দাম ছিল ২২ টাকা ১০ পয়সা। ১১ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ৩৩ টাকা ৬০ পয়সায়।

ফাইন ফুড

কোম্পানির শেয়ার ২৮ জুলাই শেয়ারটির দাম ছিল ৪২ টাকা ৮০ পয়সা। সেই শেয়ার ১১ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয়েছে ৫৯ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ ১৭ টাকা বেড়েছে।

জুট স্পিনার্স লিমিটেড

জুট স্পিনার্সের শেয়ার ১ সেপ্টেম্বর ছিল ১৬৪ টাকা ২০ পয়সা। সেই শেয়ার কোম্পানির কারসাজিতে ১৯ সেপ্টেম্বর লেনদেন হয় ২৬৯ টাকা ১০ পয়সায়। অর্থাৎ ১৯ দিনের শেয়ারটির দাম বেড়েছে ১০৫ টাকার।

বিডি থাই ফুড অ্যান্ড বেভারেজ

বিডি থাই ফুড অ্যান্ড ভেবারেজের শেয়ারের কারসাজি শুরু হয় ৫ সেপ্টেম্বর থেকে। ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে শেয়ারটির দাম ১৬ টাকা বেড়ে ৫১ টাকা ৭০ পয়সা বিক্রি হয়েছে ২২ সেপ্টেম্বর।

শাহজীবাজার পাওয়ার

২৮ আগস্ট কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল ৬৮ টাকা ৪০ পয়সা। সেখান থেকে গত ২২ দিনে শেয়ারটি ৩২ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

প্রাইম টেক্সটাইল

২২ মে শেয়ারটির দাম ছিল ২৪ টাকা ২০ পয়সা। সেখান থেকে প্রায় ২১ টাকা বেড়ে ১৭ আগস্ট বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪৫ টাকায়। অর্থাৎ দ্বিগুণ দাম বেড়েছে।

ঢা:পো: (primenewsbd)

Social Share :
Comments

Comments

  • It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem...
  • It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem...
  • It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using Lorem...